thecitybank.com
mizanbd727@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ১লা অক্টোবর ২০২৩, ১৬ই আশ্বিন ১৪৩০

বিশ্ববাজারে চাল ঊর্ধ্বমুখী হলেও কমেছে গমের দাম

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
২৪ জুলাই ২০২৩, ০৬:৩১

ছবি- সংগৃহীত

বৈশ্বিক চালের বাজারে ৪০ শতাংশ সরবরাহ আসে ভারত থেকে
বিশ্বের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই অস্থিরতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে বৈশ্বিক চালের বাজারে, বাড়ছে দাম। অন্যদিকে ইউক্রেনের সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় বিশ্ববাজারে গমের দাম বাড়লেও আবারও কমে আসছে। বিশ্ববাজারে চাল ঊর্ধ্বমুখী হলেও কমেছে গমের দাম

বাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকস জানায়, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজানায় ইউক্রেনের গম সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে টানা তিন দিনে গমের দাম প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে যায়। যদিও বাজারে স্থিতিশীলতা আবার ফিরে আসছে।
গত শুক্রবার এক দিনেই দাম কমে ৪.০৬ শতাংশ। এতে এক সপ্তাহের হিসাবে দাম বাড়ে ৫.৪৪ শতাংশ। তবে এক মাসের হিসাবে গমের দাম কমেছে ৭.৩৪ শতাংশ।
সংস্থা আরো জানায়, গত শুক্রবার বিশ্ববাজারে চালের দাম বেড়ে প্রতি হান্ড্রেডওয়েট হয় ১৬ ডলার, যা গত মে মাসের পর থেকে সর্বোচ্চ দাম।

এ দিন চালের দাম বাড়ে ০.০৯ শতাংশ, আর এক সপ্তাহে বাড়ে ২.৬৮ শতাংশ। এক মাসের হিসাবে চালের দাম বেড়েছে ১.২৭ শতাংশ। সংস্থার মতে, ভারত সরকার চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণার পর থেকেই বিশ্বের শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশগুলো থেকে সরবরাহ কমার আশঙ্কা দেখা দেয়। সে কারণেই কিছুটা অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে বাজারে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, গত বৃহস্পতিবার ভারত রপ্তানি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর শুক্রবার ক্রেতাদের সঙ্গে চাল বেচাকেনাসংক্রান্ত নতুন কোনো চুক্তি হয়নি এশিয়া, বিশেষ করে সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি চাল রপ্তানিকারক সংস্থার মালিক রয়টার্সকে বলেন, ‘শিগগিরই চালের দাম বাড়তে শুরু করবে। আমরা আশা করছি, সামনের দিনগুলোতে প্রতি টন চালের দাম অন্তত ৫০ ডলার বাড়বে এবং অল্প সময়ের মধ্যে তা ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে।’

প্রতিদিন বৈশ্বিক বাজারে যে পরিমাণ চাল বেচাকেনা হয়, তার ৪০ শতাংশ সরবরাহ আসে ভারত থেকে। বৃহস্পতিবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আবহাওয়াগত কারণে চালের উৎপাদন কম হওয়ায় অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাসমতি ছাড়া অন্য সব চালের রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ভারতের এই সিদ্ধান্ত জানানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই চালের দাম বৃদ্ধির আভাস পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের প্রায় সব রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান নতুন চালানের অর্ডার নেওয়া বন্ধ রেখেছে বলে জানা গেছে।

এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সিঙ্গাপুরের ওই ব্যবসায়ী বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা সবাই সামনের দিনগুলোর দিকে তাকিয়ে আছি; বোঝার চেষ্টা করছি চালের দাম কী পরিমাণে বাড়তে পারে।’

সিঙ্গাপুরের আরেক রপ্তানিকারী ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, ‘আমার সংস্থা আজ কোনো ক্রেতার সঙ্গে (চাল বিক্রিসংক্রান্ত) কোনো চুক্তি করেনি। অন্য সংস্থার খবর আমি জানি না। তবে আমি বলব, যেহেতু ভারত থেকে চাল আসা বন্ধ হয়ে গেছে সামনের দিনগুলোতে ক্রেতাদের আরো বেশি অর্থ ব্যয়ের জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।’

থাইল্যান্ডের চাল রপ্তানিকারকদের সংস্থা থাই রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সুকিয়াত ওফাসওয়াংসে রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের রপ্তানিকারকরা এই মুহূর্তে চাল বিক্রি করতে চাইছেন না। কারণ অনেক রপ্তানিকারকের ধারণা, সামনের দিনে প্রতি টন চালের দাম ৭০০ থেকে ৮০০ ডলারে উঠবে।’

সূত্র: কালের কষ্ঠ


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর