কর্মী ছাঁটাইয়ের বিকল্প পথ দেখছেন না রুবানা হক
প্রকাশিত:
৪ জুন ২০২০ ১৮:০৫
আপডেট:
১৬ মে ২০২২ ২০:৩৬

দেশের পোশাক কারখানাগুলো সক্ষমতার অর্ধেক ব্যবহার করে কাজ চালানো সম্ভব নয় বলে অপারগতা প্রকাশ করেছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। করোনার সঙ্কটের মধ্যে জুনে কর্মী ছাঁটাই ছাড়া বিকল্প উপায় দেখছেন না বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক। তিনি বলেন, কর্মী ধরে রাখার বিষয়ে কিছুই করার নেই। আগামী জুন থেকে শ্রমিক ছাঁটাই শুরু হতে পারে।
বৃহস্পতিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সহযোগিতায় স্থাপিত পিসিআর ল্যাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রুবানা হক বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কারখানাগুলোতে ক্যাপাসিটির (সক্ষমতা) ৫৫ শতাংশ উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ক্যাপাসিটিতে কারখানা চালিয়ে শতভাগ শ্রমিকদের কারখানায় রাখা সম্ভব হবে না। তবে এপ্রিল ও মে মাসে যে সব কারখানা শ্রমিকদের ছাঁটাই করেছে তাদের বিরুদ্ধে বিজিএমইএ ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান রুবানা হক। তিনি বলেন, ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের ব্যাপারে কোনো তহবিল গঠন করা যায় কিনা- সে ব্যপারে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, করোনার প্রভাবে ৩ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। বিগত কয়েকদিনে ২৬ শতাংশ অর্ডার ফেরত এসেছে। কিন্তু এসবে অর্থ পরিশোধের শর্ত ক্রেতারা পরিবর্তন করে দিয়েছে। এ সময় বছর শেষে ২৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হতে পারে বলে জানান তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, শ্রম সচিব কেএম আব্দুস সালাম, সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও আব্দুস সালাম মুর্শেদী, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ডক্টর এ কে আজাদ খান, বিটিএমএ'র সাবেক সভাপতি মতিন চৌধুরী প্রমুখ।
বিষয়:

‘তিন ঘণ্টার রাস্তা আসছি দুইদিনে, খরচ হইছে ৪ হাজার'

দারাজের আরজে প্রতিযোগিতায় শীর্ষে স্পাইস এফএম

সোনায় আরও স্বস্তি

করোনার আঘাতে সোনায় ধস

আশকোনা মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী কমিটি গঠন

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: